ক্রাইম রিপোর্ট ডেস্ক []মুন্সিগঞ্জ সদর উপজেলার চরবেহেরপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। সেখানে শিক্ষার্থী আছে ২৩৭ জন। তাদের পড়ানোর জন্য শিক্ষক থাকার কথা আটজন। আছেন দুজন। দুজন শিক্ষকের পক্ষে এত শিশুকে পাঠদান করা যে সম্ভব নয়, তা শিশুরাও বোঝে। এ কারণে বাধ্য হয়ে দপ্তরিকে দিয়ে তাদের পড়ানো হচ্ছে।সেখানেই চলছে শিশু থেকে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত শিক্ষা কার্যক্রম।আজ থেকে ৫১ বছর আগে ১৯৬৮ সালে বিদ্যালয়টি চালু হয়েছিল। এর মধ্যে দুবার পদ্মার ভাঙনের শিকার হয়েছে। সর্বশেষ ২০০০ সালে টিনের একটি ঘরে আবার শুরু হয় স্কুলের কার্যক্রম। সেই টিনের ঘরটি এখন জরাজীর্ণ। ভাঙা দরজা-জানালা নিয়ে ঘরটি হেলে পড়েছে। ঘরে তিনটি কক্ষ। দুটিতে দুজন শিক্ষক এবং বাকিটায় দপ্তরি ক্লাস নেন। একই টিনের ঘরে চিৎকার-চেঁচামেচির কারণে কী পড়ানো হচ্ছে, বোঝার সুযোগ থাকে না। দুজনের বেঞ্চে গাদাগাদি করে চারজনকে বসতে হয়। কখনো জায়গার অভাবে বাচ্চাদের দাঁড়িয়ে থাকতে হয়। জরাজীর্ণ টিনের চাল ফুটো। বৃষ্টিতে পানি পড়ে। ভাঙা বেড়া দিয়ে যখন-তখন কুকুর-বিড়াল ঢুকে পড়ে। শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের জন্য শৌচাগার নেই।
বাংলাদেশে কতটি